ব্রেকআপের পরে ‘জাস্ট ফ্রেন্ড’ হওয়া সম্ভব না

বিগত কয়েক বছরের ট্রেন্ড, প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেকআপের পরও নাকি তার সঙ্গে বন্ধুত্ব বজায় রেখেছে অনেকে। এটা জাস্ট সান্তনা নাকি স্রেফ মুখরক্ষা সেটাই বোঝা গেল না। কীভাবে সম্পর্কের একটা প্রোমোশন থেকে ডিমোশনে এসে খুশি হয় মানুষ তাও জানা নেই। কিন্তু একাংশ মনে করে, বন্ধুত্ব সব সম্পর্কের চেয়ে ঊর্ধ্বে। তাই এই ইকোয়েশন। তবে ব্যাপারটা যে ঠিক জমে না, সেটা এতদিনে সবাই জেনে গেছে। কী তার কারণ জেনে নিন-

১. মাঝেসাঝে বুকে ব্যথা করবেই
– যতই বুক বাজিয়ে বলুন, “আমরা এখন শুধুই বন্ধু” মেনে নিতে অসুবিধে হবে। আর পাঁচজনের মতো তাকে বন্ধু ভেবে নিতে কষ্ট হবে। বারবার দুর্বল হয়ে পড়বেন।

২. বাকি বন্ধুদের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা যাবে না তাকে
– সম্পর্ক জিনিসটায় উন্নতি হলে তার মাধুর্য্য আরও বৃদ্ধি পায়, কিন্তু অধঃপতন হলে সেটা বেশিদিন টেকে না। প্রেম+বন্ধুত্ব মধুর, কিন্তু বন্ধুত্বের থেকে প্রেমটা হারিয়ে গেলে হিসেব গুলিয়ে যায়। সোজা কথা হল, বাকি বন্ধুদের আসনে বসানো যায় না এক্স প্রেমিকাকে।

৩. মন খুলে কথা বলা যায় না
– যেহেতু অতীতে প্রেমিকার ছাপটা আছে, সব কথা তাকে দরাজ গলায় বলা যায় না। ভুলভাল নামে ডাকা যায় না। ক্ষণে ক্ষণে মনে হয় ইমেজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

৪. উইকনেসটা কাটবে না
– এক্স প্রেমিকা অনেকটা ওল্ড ওয়াইনের মতো। যত দিন যায় আরও বেশি করে ভালো লাগতে থাকে। তাই চোখের আড়াল রাখাই ভালো।

৫. পুরোনো অভ্যেসগুলো থেকেই যায়
– সম্পর্কে দীর্ঘদিন থাকতে থাকতে কিছু কিছু অভ্যেস এসে যায়। নির্দিষ্ট সময় ফোন করা, বাড়ি পৌঁছে দেওয়া, ইত্যাদি। তাই ছাড়াছাড়ি হওয়ার পরও যদি এক্স প্রেমিকা জাস্ট বন্ধুর পদে নেমে আসে, সে সব অভ্যেসগুলো কিন্তু থেকেই যায়। এদিকে যদি বন্ধুরূপী এক্স প্রেমিকা জিনিসগুলোকে পাত্তা না দেয়, কষ্ট হতে থাকে। সেই বন্ধুত্বটাও আর টেকে না।

(সংবাদটি ৮০২ বার পঠিত)

About গজারিয়া নিউজ

View all posts by গজারিয়া নিউজ →