মুন্সীগঞ্জ ও গজারিয়ায় বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকী পালিত বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শই বাংলাদেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মূলমন্ত্র -অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি

মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনাদর্শ এবং চেতনাই হলো বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির মূলমন্ত্র। বঙ্গবন্ধুর আদর্শের উত্তরাধিকার রাষ্ট্রপরিচালনার দায়িত্বে থাকলে বাংলাদেশের উন্নয়ন হয়- মানুষের ভাগোন্নয়ন ঘটে। আর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী অপশক্তি রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে।

গতকাল ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে মুন্সীগঞ্জে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভা এবং গজারিয়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। এর আগে তিনি মুন্সীগঞ্জ শহরে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে এবং গজারিয়ায় জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতার মহত্তম জীবনবোধ, দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং রাজনৈতিক দর্শন ও সংগ্রামমুখর কর্মময় জীবন-ইতিহাস আমাদের জাতিগত আত্মমর্যাদার স্মারক এবং সমৃদ্ধি ও অগ্রগতির দিক-দর্শন। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শকে ভবিষ্যত প্রজন্মের নিকট তুলে ধরতে হবে। তরুণ প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে এবং সমৃদ্ধ-আগামী বিনির্মাণের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। অনাগত প্রজন্মের জন্য প্রস্তুত করে যেতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা। যেই বাংলাদেশের প্রত্যয় ও প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তন পরিশ্রম করে চলেছেন। পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের মতো তিনিও হয়ে উঠেছেন বাঙালির আশা-আকাঙ্ক্ষা আস্থা ও বিশ্বাসের নির্ভরযোগ্য ঠিকানা।

তিনি, বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসে স্বাধীন বাংলাদেশ রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এক কালজয়ী মহামানব। বাংলা বাঙালি বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ এক ও অবিচ্ছেদ্য অংশ। শেখ মুজিব মানেই বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য জীবনের ১৪টি বছর কারাগারে কাটিয়েছেন- দুই বার ফাঁসির মঞ্চে মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছেন। দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। দীর্ঘ আন্দোল-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সাড়ে সাত কোটি মানুষের আস্থা-বিশ্বাস ও ভরসার প্রতীকে পরিণত হয়েছেন- হয়ে উঠেছেন বঙ্গবন্ধু, বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা; স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। বাঙালি জাতির স্বাধীনতা অর্জনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম ও ত্যাগ ছিল হিমালয় সম। ত্যাগের সে-মহীমা যুগ-যুগান্তরে ইতিহাসের পরদে পরদে প্রবাহিত হবে। নতুন প্রজন্মকে চিরদিন পথ দেখাবে।

মুন্সীগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুলের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান আল মামুন, হরগঙ্গা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুল হাই তালুকদার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ সুভাষ চন্দ্র হীরা, সিভিল সার্জন ডা. মঞ্জুরুল আলম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হোসেন মুহাম্মদ আল জুনায়েদ, পৌর মেয়র ফয়সাল বিপ্লব, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কাদের মোল্লা বক্তব্য রাখেন। এরপর গজারিয়া উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোয়েব আলী মোল্লা, রেফায়েতুল্লাহ খান তোতা, অধ্যাপক ডা. মাজহারুল হক তপন, আতাউর রহমান নেকি খোকন, মমিনুল হক টিটু, জেলা পরিষদ সদস্য সাইদুর রহমান খান, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুজ্জামান খান জিতু, মনিরুল হক মিঠু, কামরুল হাসান ফরায়েজী, শহীদুজ্জামান জুয়েল, মিজানুর রহমান প্রধান, আব্দুল খায়ের মোহাম্মদ আলী খোকন, সাবেক ছাত্র নেতা কামরুজ্জামান সাগর, হারুন-অর রশীদ, আশিক চৌধুরী অরেঞ্জ, সোহরাব হোসেন, আজিম উদ্দিন ফরায়েজী, জিসি শাহীন। এরপর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আল মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে ও সারোয়ার হোসেনের স ালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন অ্যাড. মৃণাল কান্তি দাস এমপি। সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।

(সংবাদটি ৪৬ বার পঠিত)

About মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনঃ

View all posts by মোহাম্মদ জসিম উদ্দিনঃ →